করোনার প্রাদুর্ভাবে ঘোষিত লকডাউন উঠে গিয়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভালো বাজার দর পেয়ে লাভের স্বপ্ন বুনছেন তিনি।
খলিল যশোরের মণিরামপুর পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে।
বরাবরই তিনি বাজারে চাহিদা সম্পন্ন নতুন জাতের ফসল ও সবজি চাষ করেন। নতুন জাতের ফল ও সবজি চাষ করেন বলেই উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বরাবরই সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।
খলিল জানান, তার লিজকৃত ২০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে চাষকৃত গ্রীষ্মকালীন লাল বাঁধা কপি পাইকার ক্রেতা ও পরিবহন সংকটে প্রায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই মাল্টা তরমুজে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সরেজমিন ইউএনবির এই প্রতিনিধি দেখেন, সবুজ গাছের বোটাই বোটাই বাঁশের চটা আর নেট (প্লাস্টিকের জাল)-সুতায় তৈরি বানের নিচে ঝুলছে সোনালী রঙের মাল্টা তরমুজ। ফলন ভালো হওয়ায় খলিলের চোখ মুখে আনন্দের ছোয়া ফুঁটে উঠেছে।
কথা বলতেই মিচকি হাসি দিয়ে খলিল জানান, তিনি সব সময় আলাদা কিছু চাষ করেন। এতে বাজারে ভালো দামের পাশাপাশি চাহিদাও থাকে বেশ। সপ্তাহ খানেক পরই তরমুজ বাজারে উঠবে। এতে প্রতিটির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
এ তরমুজ বাইরে (দেশের বড় শহরে) পাঠাতে পারলে দ্বিগুন দাম পেতেন বলেও খলিল জনান।
তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রতি গ্রাম হাজার টাকা দরে ৬০ গ্রাম বীজ সংগ্রহ করে ফাল্গুন মাকেরা হয়। বীজ বপনের পর গাছ ৬ ইঞ্চি লম্বা হলে বাশের চটা দিয়ে বান দেয়া হয়। বপনের ২৫/৩০ দিন পর ফুল আসে এবং ৫৫/৬০ দিনের মাথায় ফল কাটা শুরু হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, নতুন জাতের ফল ও সবজি চাষে খলিলকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়।